Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

নিরাপদ আমিষ ও পুষ্টি সরবরাহে মৎস্য খাত

নিরাপদ আমিষ ও পুষ্টি সরবরাহে মৎস্য খাত
খঃ মাহবুবুল হক
বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি জীবের খাদ্যের প্রয়োজন। জাতিসংঘ প্রণয়নকৃত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যসহ সকল বৈষম্যের অবসান এবং টেকসই কৃষি। দারিদ্র্য নিরসনের পরই দ্বিতীয় এজেন্ডা হিসেবে যে কর্মপরিকল্পনা দেয়া হয়েছে তা খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টি নিশ্চিতকরণ। তাই ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়তে হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর অমর্ত্য সেন বলেছেন, শুধু খাদ্যের পর্যাপ্ততা কোন দেশ বা জাতিকে ক্ষুধামুক্ত করতে পারে না যতক্ষণ না সব জনগোষ্ঠীর জন্য সেই খাদ্যপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খাদ্য শুধু পর্যাপ্ত হলে হবে না এটি সব মানুষের কাছে সহজলভ্য, নিরাপদ ও পুষ্টিকর হতে হবে।  টেকসই উন্নয়ন  অভীষ্ট বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সকল ধরনের বৈষম্যের অবসানের সাথে সাথে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার কাজ নিয়ে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মকা-ের মূলমন্ত্র- ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়’ নীতি অনুসরণ যা এ বছরের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্যের শুরুতেই বলা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার ছিচল্লিশ বছর পর ২০১৬-১৭ অর্থবছর হতে বাংলাদেশ চাহিদার বিপরীতে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সক্ষম হয়েছে। মৎস্য উৎপাদনের বাংলাদেশের এই সাফল্য আজ বিশ্ব পরিম-লে স্বীকৃত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ৩য়  স্থান ধরে রেখে বিগত ১০ বছরের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে ২য় স্থানে উন্নীত হয়েছে। বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থান গত ৬ বছরের মতো ধরে রেখেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশে মানুষ ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি এবং মাছের উৎপাদন ছিল প্রায় ৮ লাখ মে. টন। বর্তমানে (২০২০-২১) দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি এবং বর্তমানে মাছের উৎপাদন ৪৬.২১ লাখ মে.টন। অর্থাৎ স্বাধীনতা পরবর্তী মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ।
বাংলাদেশের খাদ্য  নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য সেক্টরের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও রপ্তানি আয়ে মৎস্য খাতের অবদান আজ সর্বজনস্বীকৃত। আমাদের খাদ্যে প্রাপ্ত প্রাণিজ আমিষের অধিকাংশ জোগান দেয় মাছ। দেশের জিডিপির ৩.৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির এক-চতুর্থাংশের অধিক (২৬.৫০ শতাংশ) মৎস্যখাতের অবদান। দেশের প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ খাতের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এ ছাড়াও দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১.২৪ শতাংশ আসে মৎস্য খাত হতে। মৎস্য খাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি শতকরা ৫.৭৪ ভাগ (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১)।
বাংলাদেশের সামগ্রিক কৃষি সেক্টরে মৎস্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত থাকার ফলে মাছ উৎপাদন নিয়মিত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্যবান্ধব সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশ আজ ইলিশ আহরণে বিশ্বে ১ম, স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে ২য়, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে বিশ্বে ৩য়, তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ এবং এশিয়ায় ৩য়, বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে ৫ম , সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া এবং ফিনফিস উৎপাদনে যথাক্রমে ৮ম ও ১২তম। এক কথায় বলা যায়, এটি এখন দেশের নিরাপদ পুষ্টি নিরাপত্তায় এক সম্ভাবনাময় সম্পদ।
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় জাতীয় ও আন্তর্র্জাতিক লক্ষ্যমাত্রা
জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্যখাতের অবদান বিবেচনায় মৎস্যসম্পদের স্থায়িত্বশীল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, মৎস্যচাষের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে হস্তান্তর, পল্লী অঞ্চলের বেকার ও ভূমিহীনদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ প্রসারিত করা এবং মৎস্যজীবীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, উন্নয়ন দর্শন রূপকল্প ২০৪১, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ব-দ্বীপ পরিকল্পনার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-এ উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মৎস্য অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-এর ১৪.২, ১৪.৪, ১৪.৬, ১৪.৭ ও ১৪.বি লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় লিড মিনিস্ট্রির পাশাপাশি ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষির প্রসারে ২.৩, ২.৫ লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে কো-লিড হিসেবে কাজ করছে। এছাড়াও সুরক্ষিত পরিবেশ ও উন্নত জীবন নিশ্চিতের লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সংশ্লিষ্ট ১.১, ১.২, ১.৩, ১.৫, ৬.৬, ৮.৮, ১০.২, ১১.৫, ১১,১৫.১, ১৫.৩ এবং ১৭.১৮ বাস্তবায়নে সহযোগী মন্ত্রণালয় হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারিত হওয়ায় ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিমি. এলাকায় মৎস্য আহরণে আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিশাল জলরাশি হতে স্থায়িত্বশীলভাবে মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও আহরণে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা (plan of action) প্রণয়ন করা হয়। উক্ত কর্মপরিকল্পনা জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি-এর সাথে সমন্বয় করে ২০১৮-২০৩০ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করে বান্তবায়ন করা হচ্ছে।
নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির জোগানে মাছ
মাছ একটি উচ্চ আমিষসমৃদ্ধ দামে সস্তা ও সহজ পাচ্য, কম চর্বি ও শ্বেতসার যুক্ত নিরাপদ খাদ্য। মানুষের দেহের জন্য একটি সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো হলো- প্রোটিন, শ্বেতসার, লিপিড, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি। পুষ্টিগত দিক থেকে মাছে উপরোক্ত সবগুলো উপাদানই বিদ্যমান। মাছে সাধারণত জলীয় অংশ ৬৫-৮০%, প্রোটিন ১৫-৩০%, ফ্যাট বা লিপিড ৫-২০% এবং ভিটামিন/মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্য উপাদান ০.৫-৩% পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। তাছাড়া শুঁটকি ও কিছু শুকনো মৎস্যজাত পণ্যে আমিষের পরিমাণ ৩৫-৫৫%। মাছে  খাদ্য উপাদানগুলো একটি সুষম মানে বিদ্যমান রয়েছে। মাছ সহজপ্রাচ্য হওয়ায় দ্রুততম সময়ে মানবদেহে শক্তি উৎপন্ন হয়।
উপকারি তেল
মানবদেহে সাধারণত তিন ধরনের চর্বি পাওয়া যায় এর মধ্যে অন্যতম হলো পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড (PUFA) যেটি মানবদেহের জন্য উপকারী ও অত্যন্ত দরকারি অথচ দেহের ভেতরে তৈরি হয় না। বাইরের উৎস থেকে খাদ্য গ্রহণ করলে এটি মানুষের শরীরে তৈরি হয়। মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ তেল রয়েছে যা করোনারি হৃদরোগ, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী একটি ব্যাপক আলোচিত উপাদান। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে রয়েছে দুইটি অত্যাবশ্যকীয় পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যথা- ইকোসা পেন্টানোয়িক এসিড (EPA) ও  ডোকোসা হ্যাক্সানোয়িক এসিড (DHA); যেগুলো কেবল সামুদ্রিক মাছ ও ফাইটোপ্লাংকটনে সাধারণত দেখা যায়। এগুলোর অভাবে মানুষের মস্তিস্কের স্বাভাবিক বিকাশে মারাত্মকভাবে ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়াও ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন (এ, ডি, ই ও কে) বহনে এইসব উপাদান অত্যন্ত জরুরি যার অভাব হলে দেহে বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত সামুদ্রিক মাছগুলোতে ওমেগা-৩ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল, কড, ইলিশ জাতীয় মাছের অত্যাধিক পরিমাণ ওমেগা-৩ বিদ্যমান।
স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ মাছ সরবরাহে গৃহীত পদক্ষেপ
আইনি পরিকাঠামো তৈরি : জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও রপ্তানি  নিশ্চিত করতে মৎস্য অধিদপ্তরে  আইনি কাঠামোর আওতায় প্রণীত হয়েছে আইন, বিধিমালা, নীতি ও গাইডলাইন এবং এগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তন্মধ্যে মৎস্য হ্যাচারি আইন, ২০১০ ও মৎস্য হ্যাচারি বিধিমালা, ২০১১, মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ ও মৎস্য খাদ্য বিধিমালা, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২০ এবং মৎস্য ও মৎস্য পণ্য (পরিদর্শন ও  মাননিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ১৯৯৭ মেডিসিনাল প্রোডাক্টস কন্ট্রোল গাইডলাইন্স ২০১৫, সামুদ্রিক মৎস্য (Marimc fisheries) আইন, ২০২০ ইত্যাদি ইত্যাদি অন্যতম।
উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলন ও ব্যবস্থাপনা : বাজারে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাছ/চিংড়ি সরবরাহের অন্যতম শর্ত হলো উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলনের পাশাপাশি উত্তম ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন। সঠিক উৎপাদন পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি জৈব নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে খামার স্থাপন ও মজুদপূর্ব এবং মজুদকালীন ব্যবস্থাপনার প্রতিটি ধাপে উত্তম চাষ ব্যবস্থা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
ন্যাশনাল রেসিডিউ কন্ট্রোল প্ল্যান বাস্তবায়ন (NRCP) : ন্যাশনাল রেসিডিউ কন্ট্রোল প্ল্যান কার্যক্রমের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ভোক্তার জন্য বাংলাদেশি মৎস্যপণ্য নিরাপদ করা। এনআরসিপি কার্যক্রমের মাধ্যমে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য হলো দূষণের সহনশীল সীমা ও সর্বোচ্চ অবশিষ্টাংশের সীমার জন্য নির্ধারিত সম্মত নীতির সামঞ্জস্যতা মূল্যায়ন করা, নিষিদ্ধ/অননুমোদিত পদার্থের অবৈধ ব্যবহার উদঘাটন করা এবং দূষণ অবশিষ্টাংশের উৎস নির্ণয় করা।
মৎস্য মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি পরিচালনা : আন্তর্জাতিক বাজারে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতায় তিনটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মৎস্য মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি পরিচালিত হচ্ছে। মৎস্য ও মৎস্যজাতপণ্যের মাননিয়ন্ত্রনে সাফল্যের স্বীকৃতস্বরূপ ২০১৫ সালে EU-FVO (ইউরোপীয় ইউনিয়নেরFood and veterinary office) audit team এর সুপারিশে মৎস্যপণ্য রপ্তানিতে প্রতিটি কনসাইনমেন্টের সাথে টেস্ট রিপোর্ট পাঠানোর বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হয়।  
জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা : জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রার সাথে মৎস্য খাতের কর্মপরিকল্পনার প্রণয়ন করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনার আলোকে প্রকল্প প্রণয়ন, কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
বর্তমান বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি যেমন সরাসরি মানব স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত তেমনি মানুষসহ সকল জীবের টিকে থাকা, নিরাপদ থাকা, সুরক্ষিত থাকা সুস্থ পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। মৎস্য অধিদপ্তর আপামর জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাণিজ আমিষের চাহিদাপূরণে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ মাছ সরবরাহে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং সে লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে অর্জিত হবে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, বৃদ্ধি পাবে রপ্তানি আয় ও অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর জীবন হবে সুরক্ষিত-উন্নত। বাস্তবায়িত হবে সরকারের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।

লেখক : মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ফোন : ২২৩৩৮২৮৬১; ই- মেইল : dg@fisharies.gov.bd


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon